বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:১৯ অপরাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

চট্টগ্রামে করোনা রোগীর শরীরে প্লাজমা প্রয়োগ

ভয়েস নিউজ ডেস্ক:

করোনা আক্রান্ত রোগীকে প্রথম বারের মতো প্লাজমা দেয়া হয়েছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একই হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সমীরুল ইসলামের শরীরে মঙ্গলবার এ প্লাজমা প্রয়োগ করা হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, যার কাছ থেকে প্লাজমা নেয়া হয়েছে তিনি একজন সৌদী আরব প্রবাসী। মো. তারেক নামের ওই ব্যক্তির বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়। প্রায় মাস খনেক আগে তার শরীরের নমুনা পরীক্ষায় কোভিড-১৯ ভাইরাস শনাক্ত হয়। বর্তমানে তিনি পুরোপুরি সুস্থ।

স্বাচিপ (স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ) এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমানের প্রচেষ্ঠায় তিনি প্লাজমা দিতে সম্মত হন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ট্রান্সফিউশন কেন্দ্রে তার কাছ থেকে প্লাজমা নেয়া হয়। পরে তা হাসপতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ডা. সমীরুল ইসলামের শরীরে দেয়া হয়।

স্বাচিপের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত চমেক হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সমীরুল ইসলামের জীবন শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। তার জন্য ঢাকা থেকে প্লাজমা আনার চেষ্টা করা হলেও দীর্ঘ পথে তা নষ্ট হয়ে যাবার আশংকা থাকায় আমরা চট্টগ্রামে পুরোনো কোন কোডিভ রোগীর কাছ থেকে তা পাবার চেষ্টা করি। এক্ষেত্রে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগমের কাছ থেকে সন্ধান পেয়ে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া মো. তারেকের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করি। এক পর্যায়ে জানতে পারি তিনি আমার একই এলাকার বাসিন্দা।

তার স্ত্রীও মা ও শিশু হাসপাতালের একজন ডাক্তার। আমাদের অনুরোধে তিনি প্লাজমা দিতে সম্মত হন।
ডা. মিনহাজুর রহমান বলেন, চমেক হাসপাতালের ব্লাড ট্রান্সফিউশন বিভাগের ডা. তানজিলা হাবিবের তত্ত্বাবধানে এ প্লাজমা থেরাপি সম্পন্ন হয়। তবে রোগীদের নিয়মিতভাবে প্লাজমা থেরাপি দেয়ার জন্য যে মেশিন প্রয়োজন তা চট্টগ্রামে নেই। আমরা জেনেছি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদর দপ্তরে এ মেশিন রয়েছে। সেটি আনার ব্যবস্থা করা গেলে করোনার এই মহাসংকটকালে রোগীদের প্লাজমা থেরাপি দেয়ার বিষয়টি অনেকটা সহজ হতো।

প্রসঙ্গত, করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তির শরীরে উৎপন্ন এন্টি বডি অন্য রোগীর শরীরে প্রয়োগ করাই প্লাজমা থেরাপি হিসাবে পরিচিত। প্লাজমা প্রয়োগের ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং দ্রুত হয়ে উঠেন। ইতিমধ্যে ঢাকায় একাধিক রোগীকে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়েছে।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION